ভর্তিদের অবস্থা উন্নতি হচ্ছে: বার্নের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক

সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন বার্নের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসির উদ্দীন।

ধামরাই নিউজ: 

জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন বলেছেন, ‘আজ আমরা ক্রিটিক্যাল অবস্থায় থাকা দুই শিশুকে হারিয়েছি। সকালে আয়মান এবং দুপুরে মাকিন আমাদের ছেড়ে চলে গেছে। আয়মানের বাড়ি শরীয়তপুরে, মাকিনের বাড়ি গাজীপুরে। তাদের মরদেহ যথাযথভাবে দাফনের জন্য সংশ্লিষ্ট দুই জেলার সিভিল সার্জনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

শুক্রবার (২৫ জুলাই) বিকেলে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট এবং হাসপাতালে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভবনে বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় আহতদের চিকিৎসার সর্বশেষ অবস্থা তুলে ধরতে এই ব্রিফিং আয়োজন করা হয়।

অধ্যাপক নাসির উদ্দীন জানান, বর্তমানে ইনস্টিটিউটে ৪০ জন রোগী ভর্তি আছেন। তাদের মধ্যে ৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক (ক্রিটিক্যাল), ১০ জন সিভিয়ার কেস এবং ২৫ জন ইন্টারমিডিয়েট পর্যায়ের রোগী।

তিনি বলেন, ‘ইন্টারমিডিয়েট পর্যায়ের ১০ জনকে পোস্ট-অপারেটিভ ডকে রাখা হয়েছে, বাকিদের কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে।’

তিনি আরও জানান, ‘আগামীকাল চার থেকে পাঁচজন রোগীকে ছাড়পত্র দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। আশা করছি, প্রতিদিনই আমরা কিছুসংখ্যক রোগীকে সুস্থ অবস্থায় বাড়ি পাঠাতে পারব।’

অধ্যাপক নাসির উদ্দীন বলেন, ‘এর মধ্যে আরেকটা ভালো খবর হচ্ছে, ভেন্টিলেশনে থাকা রোগীদের মধ্যে দুজন ছিলেন—বর্তমানে সজাগ আছেন এবং নিজেরাই নিঃশ্বাস নিতে পারছেন।’

চিকিৎসাসেবা ও তত্ত্বাবধান নিয়ে তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্য উপদেষ্টা এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারীর সঙ্গে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে। আহতদের চিকিৎসা বিষয়ে মন্ত্রণালয় এবং অধিদপ্তরের সঙ্গে সার্বক্ষণিক সমন্বয় বজায় রাখা হচ্ছে।’

শেষে সকলের কাছে দোয়া চেয়ে বার্নের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক বলেন, ‘আশা করছি সামনে আরও রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরবেন। আপনারা আমাদের জন্য দোয়া করবেন যেন আমরা এই দায়িত্ব সুচারুভাবে পালন করতে পারি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *